💖 ভালোবাসার এক মিষ্টি গল্প – “তোমার অপেক্ষায়” 💖nopsolive/news

নিশাত আর আয়ান

দুই ভিন্ন জগতের মানুষ, কিন্তু হৃদয়ের টান যে যুক্তি মানে না!
নিশাত, গ্রামের মেয়ে। প্রকৃতির স্নিগ্ধতা, মেঠোপথের সন্ধ্যা, কুয়াশাভেজা সকাল—এসবই তার ভালোবাসা। অন্যদিকে, আয়ান শহরের ব্যস্ত জীবনে অভ্যস্ত। সে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সবসময় কাজে ডুবে থাকে।

দুজনের প্রথম দেখা হয় এক সন্ধ্যায়, গ্রামের মেলায়। আয়ান এসেছিল তার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে। নিশাত তখন পাঁপড় বিক্রি করছিল মেলায়। আয়ানের এক মুহূর্তেই নজর আটকে যায় মেয়েটির সরল হাসির দিকে।

আয়ান যেন নিশাতের চোখের ভাষায় হারিয়ে যায়। নিশাত অবাক হয়ে ভাবে, "এই ছেলেটা আমাকে এত দেখছে কেন?" আয়ান সাহস করে বলে,

 "আপনার বানানো পাঁপড় কি এতই মজার যে পুরো মেলা জুড়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে?"
নিশাত মুচকি হেসে বলে,
— "মজার না হলে কি সবাই নিত?"
সেই ছোট্ট কথোপকথন থেকেই শুরু হয় তাদের গল্প।
মেলায় দেখা হওয়ার পর আয়ান প্রায়ই গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে বের হতো, কারণ সে জানত নিশাতও বিকেলে ওখান দিয়ে হাঁটে। একদিন আয়ান সরাসরি বলে ফেলে,

"তোমার হাসিটা বড্ড মিষ্টি! তোমার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললে মনটা ভালো হয়ে যায়।"
নিশাত লজ্জায় আর কিছু বলতে পারে না, শুধু পলক নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। আয়ান বুঝে যায়, মেয়েটিও তাকে বিশেষভাবে পছন্দ করতে শুরু করেছে।
কিন্তু সব গল্প কি এত সহজে এগিয়ে যায়? আয়ানের পরিবার চায় সে শহরের একটা আধুনিক মেয়েকে বিয়ে করুক, গ্রামের মেয়ের সঙ্গে নয়। কিন্তু আয়ান জানে, নিশাতই তার প্রকৃত সুখ।

অনেক বাধা পেরিয়ে, অনেক প্রমাণ দিয়ে আয়ান তার পরিবারের মন জয় করে নেয়। সে বুঝিয়ে দেয়, ভালোবাসা শহর-গ্রাম নয়, অন্তরের টানই আসল।
এক সন্ধ্যায়, সেই একই মেলায় আয়ান নিশাতের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে, হাতে একটা ছোট্ট রিং নিয়ে বলে,

— "তুমি কি সারাজীবন আমার পাঁপড়ের স্বাদ নিয়ে যেতে চাও?"
নিশাত হেসে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলে "তুমি পাঁপড় ভালোবাসো, না আমাকে?"আয়ান মুচকি হেসে বলে,

"পাঁপড়ের স্বাদ একদিন ভুলে যেতে পারি, কিন্তু তোমাকে নয়!"
তারা বিয়ে করে, একসঙ্গে নতুন জীবন শুরু করে—ভালোবাসার এক অপূর্ণতা থেকে পূর্ণতার দিকে যাত্রা।
💖 শেষ, কিন্তু ভালোবাসা চলতে থাকে… 💖
কেমন লাগলো গল্পটা? 😊😍

পরিচয় প্রথম অনুভূতি ভালোবাসার ছোঁয়া ভালোবাসার পরিণতি শেষ দৃশ্য